Tuesday, October 31, 2017

ভাই-বোনের ভালোবাসা ।

- ভাইয়া কই যাচ্ছিস?
- তোকে বলে যেতে হবে?
- হু বলে যেতে হবে।
- আচ্ছা বলছি, আমি এখন পার্কে যাব।
- কেন যাবি?!
- এক মেয়ের সাথে পিরিত করতে!
- সত্যি?!
- ধুরর!
মেজাজ দেখিয়ে চলে যাচ্ছি। এমন সময় মিতু বলে উঠলো। "ভাইয়া বাইরে থেকে আসার সময় আমার জন্য একজোরা কানের দুল নিয়ে আসিস।"
আমি বললাম, একজোরা 'গাজী টায়ার' নিয়ে আসবো।
অনেকদিন পর পার্কে আসলাম। বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা, ঘুরাঘুরি এবং প্রেসক্লাবে খাওয়ার পর রাত্রে বাসার দিকে রওনা হলাম। 
এমন সময় মনে পড়লো মিতুর কথা! 
ও তো বলেছিলো, "কানের দুল নিয়ে যেতে!"
পকেটে হাত দিয়ে দেখি ৪৫০টাকা আছে। 
এই টাকা দিয়ে কি হবে! 
ভাবতে ভাবতে একটা গহনার দোকানে গেলাম। 
এবং সুন্দর দেখেই একজোরা কানের দুল নিলাম। 
বাসায় এসেছি রাত ১১টায়। এসেই ঘুম।
সকালে ঘুম থেকে জাগতেই দেখি মিতু আমার জন্য নাস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। 
একটা প্লেটে দুইটা রুটি এবং ডিম বাজি। 
আমি বিছানায় উঠে বসতেই বললো, 
- ‘ভাইয়া নাস্তা করে নে। 
আমি কফি বানিয়ে নিয়ে আসছি।’
এমনিতে মিতু কোনোদিন আমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসে না। আর কফি তো দূরে থাক চা টাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আজ দরদ উতলে পড়ছে!
রুটি খেয়ে কফির কাপে চুমুক দিব ঠিক এমন সময় মিতু আমার দিকে হাত পেতে বললো, 
- ভাইয়া দাও।
আমি বললাম, 
- কি দিব?
- গতকাল যে বলেছিলাম।
- আনিনি তো!
বোনটি মুখ গোমরো করে চলে যাচ্ছে। 
এমন সময় আমি ডাক দিলাম, 
- মিতু!
- কিহ্?
- দেখ তো পছন্দ হয় কিনা?
মিতু অনেকটা আপ্লুত হয়ে বললো, 
- আমার লক্ষী ভাইটা।
- আমার পেত্নী বোনটি। 
.
.
ভাই বোনের এমন খুনসুটি সেই শৈশব থেকে আরম্ভ হয় আর দাবিগুলো থাকে সারাজীবন। 
ভাইয়া আমার জন্য এটা আনিস, সেটা কিনিস এই দাবিগুলো পূরণ করতে প্রত্যেকটি ভাইয়ের খুব ভালো লাগে। 
সো আজকেই নিজের ভাইকে একটি আবদার করে। ফেলুন।

No comments:

Post a Comment